মেট্রোরেল সম্পর্কিত ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান General Knowledge about Dhaka Metro Rail
মেট্রোরেল সম্পর্কিত ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান General Knowledge about Dhaka Metro Rail
মেট্রোরেলের সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান
১.প্রশ্ন : ঢাকা মেট্রোরেলের ব্যবস্থাকে কী বলা হয়?
উত্তর : ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট।
২. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের পরিচালনা ব্যবস্থার নাম কী ?
উত্তর : কমিউনিকেশন বেজড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম।
৩. প্রশ্ন : ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তর : ২৬ জুন ২০১৬।
৪. প্রশ্ন : প্রথম দফায় ঢাকা মেট্রোরেল বা এমআরটি-৬ লাইনের দৈর্ঘ্য কত ছিল?
উত্তর : ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার।
৫. প্রশ্ন : ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের নাম কী?
উত্তর : ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
৬. প্রশ্ন : ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের নাম কী?
উত্তর : দিল্লি মেট্রোরেল করপোরেশন।
৭. প্রশ্ন : ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের বর্তমান দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর : ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার।
৮. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের স্টেশনসংখ্যা প্রথমে কত ছিল?
উত্তর : ১৬।
৯. প্রশ্ন : সংশোধিত প্রকল্পে বর্তমানে স্টেশনসংখ্যা হবে কত?
উত্তর : ১৭।
১০. প্রশ্ন : মেট্রোরেল প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদিত হয় কবে?
উত্তর : ১৯ জুলাই ২০২২।
১১. প্রশ্ন : সংশোধিত প্রকল্পে বর্তমান মেট্রোরেল হবে—
উত্তর : উত্তরা থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত।
১২. প্রশ্ন : মেট্রোরেল প্রকল্প প্রথমে ছিল—
উত্তর : উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত।
১৩. প্রশ্ন : মেট্রোরেল প্রকল্পের নতুন করে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে কত কিলোমিটার?
উত্তর : ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার।
১৪. প্রশ্ন : মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন করছে কোন প্রতিষ্ঠান?
উত্তর : জাইকা (৭৫%) ও বাংলাদেশ সরকার।
১৫. প্রশ্ন : মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল কত টাকা?
উত্তর : ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।
১৬. প্রশ্ন : সংশোধনের পর মেট্রোরেল প্রকল্পের নতুন ব্যয় কত টাকা?
উত্তর : ৩৩ হাজার ৪৭১ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা।
১৭. প্রশ্ন : মেট্রোরেল প্রকল্পে জাইকা কত টাকা দেবে?
উত্তর : ১৯ হাজার ৭১৮ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা।
১৯. প্রশ্ন : এমআরটি লাইন-৬ মেট্রোরেল প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয় কবে?
উত্তর : ১৮ ডিসেম্বর ২০১২।
২০. প্রশ্ন : প্রথম ধাপে মেট্রোরেলের কত কিলোমিটার ও কোন এলাকা চালু হবে?
উত্তর : উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
২১. প্রশ্ন : মিরপুর ১০ স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয় কবে?
উত্তর : ২৯ নভেম্বর ২০২১।
২২. প্রশ্ন : আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয় কবে?
উত্তর : ১২ ডিসেম্বর ২০২১।
২৩. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে কোন কোন প্রতিষ্ঠান?
উত্তর : থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ও চায়নার সিনোহাইড্রো করপোরেশন।
২৪. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের ট্রেনগুলো আসবে কোন দেশ থেকে?
উত্তর : জাপান।
২৫. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে বগির থাকবে কতটি করে?
উত্তর : ৬টি।
২৬. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে কত টাকা?
উত্তর : ৫ টাকা।
২৭. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া কত টাকা?
উত্তর : সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা।
২৮. প্রশ্ন : প্রতিটি মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা কত?
উত্তর : ২ হাজার ৩০৮ জন।
২৯. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ পরিকল্পিত গতি কত?
উত্তর : ১০০ কিমি/ঘণ্টা।
৩০. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো কত তলাবিশিষ্ট হবে?
উত্তর : তিনতলা।
৩১. প্রশ্ন : মেট্রোরেলের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য কত হবে?
উত্তর : ১৮০ মিটার।
⩏ মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য কত?
ঢাকা মেট্রোরেল ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে “ম্যাস রেপিড ট্রানজিট” কোম্পানির অধীনে। বাংলাদেশের ঢাকায় তৈরি দেশের প্রথম মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০.১০ কিলোমিটার।
⩏ সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে?
মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালনার জন্য DMTCL গঠন করা হয়। DMTCL এর পূর্ণ নাম হচ্ছে “ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি”।
⩏ সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে যদি আপনার মনে প্রশ্ন থাকে, তবে আপনাকে বলছি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে।
⩏ DMTCL গঠন করার কারণ কি?
মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালনাকারী কোম্পানির নাম হচ্ছে “ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি”। মূলত মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, ডিজাইন এবং জরিপ সংঘটিত কাজের জন্য এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
⩏ মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা কত?
পর্যায়ক্রমে সমগ্র ঢাকা সিটিকে মেট্রো রেলের আওতায় আনা হবে সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে। মেট্রোরেলের প্রথম স্তর স্টেশন সংখ্যা ১৬ টি।
⩏ মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম স্তর ট্রেন সংখ্যা কত টি?
সমগ্র ঢাকা শহরে মেট্রোরেল লাইন যত বেশি সম্প্রসারিত হবে ট্রেনের সংখ্যা তত বেশি বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমানে মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম স্তর ট্রেন সংখ্যা ২৪ টি।
⩏ মেট্রোরেল স্টেশন গুলির নাম কি কি?
মেট্রোরেলের প্রথম স্তর এর মেট্রো রেলপথের নাম হচ্ছে এমআরটি লাইন ৬। তবে মেট্রোরেলের প্রথম স্তরের স্টেশন গুলির নাম গুলো হচ্ছে-
▪️ জাতীয় জাদুঘর।
▪️ দোয়েল চত্বর।
▪️ জাতীয় স্টেডিয়াম।
▪️ বাংলাদেশ ব্যাংক।
▪️ উত্তরা সেন্টার।
▪️ আইএমটি।
▪️ মিরপুর-১০।
▪️ কাজীপাড়া।
▪️ তালতলা।
▪️ আগারগাঁও।
▪️ উত্তরা উত্তর।
▪️ বিজয় সরণি।
▪️ উত্তরা দক্ষিণ।
▪️ পল্লবী।
▪️ ফার্মগেট।
▪️ সোনারগাঁও।
⩏ মেট্রোরেলের বিদুৎ জোগানের জন্য উপকেন্দ্রের স্থান সমূহ কোথায়?
মেট্রোট্রেন চলবে বিদুৎ এর সাহায্যে, তাই মেট্রোরেলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ জোগান দিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি বিদুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
⩏ মেট্রোরেলের বিদুৎ জোগানের জন্য উপকেন্দ্রের স্থান সমূহ হচ্ছে-
1. তালতলা
2. বাংলা একাডেমি
3. সোনারগাঁও
4. উত্তরা
5. পল্লবী
⩏ মেট্রোরেলে প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ খরচ কত মেগাওয়াট?
সারা বিশ্বে মেট্রোরেল গুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে থাকে, বাংলাদেশেও মেট্রোরেল গুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলবে। মেট্রোরেলে প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ খরচ ১৩.৪৭ মেগাওয়াট বলে জানিয়েছে মেট্রো রেল কতৃর্পক্ষ।
⩏ ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ?
সমগ্র ঢাকা সিতিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। তাই মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ ধাপে ধাপে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার ও সরকারি যে প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছ তার নাম হচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি।
⩏ ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম স্তরের কাজ শুরু জুন, ২০১৬ইং সালে। তবে বর্তমান ডিসেম্বর ২০২২ সালে এসেও প্রথম স্তরের কাজ শেষ হয়নি।
⩏ মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম স্তরের কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় স্তরের কাজ শুরু হবে এবং পর্যায় ক্রমে চলতে থাকবে।
⩏ মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছে ২৮ আগস্ট ২০২২ রোজ রোববার।
⩏ বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের টেস্ট রান বা পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোববার ২৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে।
⩏ সেই দিন মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপো থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
⩏ মেট্রো ট্রেনটি উত্তরা ডিপো থেকে যাত্রা শুরু করে প্রথম চারটি স্টেশন অতিক্রম করে এবং উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্ট্রাল, উত্তরা সাউথ হয়ে পল্লবী স্টেশনে গিয়ে ট্রেনটি আবার ফিরে আসবে।
⩏ মেট্রোরেল কবে উদ্বোধন করা হয় বা হবে?
মেট্রোরেল উদ্বোধন কবে করা হবে আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন তাদের অপেক্ষার পালা শেষ।
⩏ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী দ্য ডেইলি স্টারকে দেয়া এক বক্তব্যে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
⩏ ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। আজ ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তা বাস্তাবায়ন হয়ে গেল।
সামনের পরীক্ষাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ🥰
✅ মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-৬):
🔶 অনুমোদনঃ একনেক সভায় ১৮ ডিসেম্বর, ২০১২
🔶নির্মাণ কাজ শুরুঃ ২৬ জুন, ২০১৬
🔶রুটঃ উত্তরা থেকে কমলাপুর
🔶সম্ভাব্য ব্যয়ঃ প্রাক্কলিত ব্যায় মোট ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। প্রকল্প সহায়তা ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকার ১৩ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা।
🔶উন্নয়ন সহযোগীঃ জাইকা, জাপান
মালিকানাঃ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (DMTCL)
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানঃ ৮ টি প্যাকেজের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে-
🔹প্যাকেজ-০১ঃ টোকিও কন্সট্রাকশন কোম্পানি, জাপান
🔹প্যাকেজ-০২, ০৩, ০৪ঃ ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট, থাইল্যান্ড ও সিনোহাইড্রা, চীন
🔹প্যাকেজ-০৫ঃ টেক্কেন করপোরেশন; আবদুল মোনেম লিমিটেড; আবে নিক্কো কোগিও কোম্পানি লিমিটেড
🔹প্যাকেজ-০৬ঃ সুমিতোমা মিতসুই কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, জাপান এবং ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট, থাইল্যান্ড
🔹প্যাকেজ-০৭ঃ মারুবিনি করপোরেশন, জাপান এবং এল অ্যান্ড টি, ভারত
🔹প্যাকেজ-০৮: কাওয়া সাকি- মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম, জাপান
🔶ধরন👉 উড়াল সেতু
🔶দৈর্ঘ্য👉 ২১.২৬ কিলোমিটার
🔶স্টেশন সংখ্যা👉 ১৭ টি
🔶সক্ষমতা👉 ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে ৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে
🔶টিকেট পদ্ধতিঃ এমআরটি লাইন-৬ বা বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেলে Single Journey Ticket এবং MRT Pass ব্যবহার করে যাতায়াত করা যাবে। Rapid Pass ব্যবহার করেও যাত্রীসাধারণ স্বাচ্ছন্দ্যে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। Ticket Office Machine (TOM) হতে বিক্রয়কারীর সহায়তায় Single Journey Ticket এবং MRT Pass ক্রয় করা যাবে।
🔶বিদ্যুৎ ব্যবস্থাঃ মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে উত্তরা ডিপো এবং মতিঝিল এলাকায় দুটি রিসিভিং সাবস্টেশন থাকবে। মতিঝিল রিসিভিং সাবস্টেশনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এর মানিকনগর গ্রিড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর দুইটি পৃথক সার্কিট এবং উত্তরা রিসিভিং সাবস্টেশনে পিজিসিবি এর টংগী গ্রিড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর একটি সার্কিট ও ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এর উত্তরা গ্রিড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর অপর একটি সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করবে।
🔶পরিবেশ দূষণ রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থাঃ MRT Line-6 এর প্রতিটি প্যাকেজের নিয়োজিত ঠিকাদার Construction Environmental Management Plan (CEMP) অনুসরণে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ যেমন: Air, Water, Noise, Waste Management, Dust Control, Drain and Footpath Management ইত্যাদির বাস্তবায়ন ও মনিটর করে থাকে। পরিবেশে যাতে বিরূপ প্রভাবনা পড়ে সেজন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক প্রতিদিন প্রকল্প এলাকায় একাধিক বার পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় উত্তোলিত মাটি ঢেকে রাখা হয় এবং প্রয়োজনে ঢেকে পরিবহন করা হয়। শব্দ দূষণরোধে জেনারেটর গুলোতে ক্যানপি ব্যবহার করা হয় এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশে Mitigation Measures গ্রহণ করা হয়েছে। পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণে Construction Yard ও Batching Plant এলাকার অভ্যন্তরীণ ড্রেনের পানি পরীক্ষা করে তা স্বাভাবিক মানমাত্রায় এনে অবমুক্ত করা হয়।
🔶ঋণ পরিশোধের উপায়ঃ বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ, বৈদেশিক ঋণ এবং সরকারি বিনিয়োগের রিটার্নসহ এমআরটি-এর সব খরচ মেটানোর জন্য ভাড়ার টাকা যথেষ্ট হবে না। সে জন্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) নন-ফেয়ার উৎস থেকে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ রাজস্ব তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। প্রতিটি স্টেশনে ট্রানজিট-ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (টিওডি), স্টেশন প্লাজা এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক সুবিধা সংযুক্ত করা হবে। উত্তরা নর্থ স্টেশন, আগারগাঁও ও মতিঝিল স্টেশন সংলগ্ন স্টেশন প্লাজা নির্মাণ করা হবে।
🔶আর্থ সামাজিক গুরুত্বঃ যানজটের অর্থপোচয় রোধ নিরস্বন: ২০১৮ সালের বুয়েট পরিচালিত এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ঢাকা শহরের যানজটের জন্য ৪.৪ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। যা বাজেটের প্রায় ১০ শতাংশ। বছরেএই প্রকল্পের মাধ্যমে এই খরচ বহুলাংশে হ্রাস পাবে।
🔶যানজটের সময়াপোচয় রোধঃ উত্তরা থেকে মতিঝিল প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তায় চলচালের জন্য সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ এর প্রতিবেদন আনুযায়ী ঢাকার যানজট কারণে প্রতিদিন ৩ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সময় কমে দাঁড়াবে ৪০ মিনিটে, যা অপচয় হওয়া কর্মঘণ্টা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস করবে।
🔶সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধিঃ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার দুই প্রান্তের যোগাযোগ উন্নয়ন হবে, যা সড়ক পথের উপর চাপ কমাবে। ফলস্বরূপ ঢাকার অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহন সহজ হবে এবং পাশাপাশি সাশ্রয় হবে। প্রকল্প বিশ্লেষণ তথ্য অনুযায়ী এই প্রকল্প দেশের জিডিপি ১ শতাংশ বৃদ্ধি করবে।
🔶আবাসন সমস্যার সমাধানঃ মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকা শহর থেকে জনসংখ্যার ঘনত্ব কমানো যাবে। মানুষ বাসা ভাড়া অনেক কম খরচ করে শহরের বাইরে থাকতে পারে এবং অফিস ও অন্যান্য কাজে সহজে ঢাকায় আসতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গাজীপুর বা নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বসবাসকারী লোকেরা সমস্ত রুট সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে মূল শহরে যেতে পারে।
🔶পরিবেশ দূষণহ্রাসঃ ঢাকার রাস্তায় চলমান সব যানবাহন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করে, যা পরিবেশ দূষণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এ ছাড়া ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের উদ্যোগ চলছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে রয়েছে। বিদ্যুৎ চালিত মেট্রোরেল রাজধানীর জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহারের উপর চাওপ কমিয়ে পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন